Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

সরেজমিন গবেষণা বিভাগ

দৌলতপুর, খুলনা

 

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আওতায় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, দৌলতপুর, খুলনা- একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান

 

উদ্দেশ্য

 

 কৃষকের মাঠে গবেষণার মাধ্যমে কৃষকের উন্নতি সাধন

 এলাকাভিত্তিক লাকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন

 উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমুহ হস্তান্তরের জন্য গবেষণা-সম্প্রসারণ সম্পর্ক জোরদাকরণ

 

বহুস্থানিক গবেষণা কেন্দ্র

 

অত্র কেন্দ্রের অধীনস্থ  ৫ টি বহুস্থানিক গবেষণা কেন্দ্র (এমএলটি) রয়েছে -

 এমএলটি সাইট, সাতক্ষীরা

 এমএলটি সাইট, ডুমুরিয়া

 এমএলটি সাইট, বাগেরহাট

 এমএলটি সাইট, বটিয়াঘাটা

 এমএলটি সাইট, কয়রা

 

কৃষি পরিবেশ অঞ্চল

 

 কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১১ (উঁচু গঙ্গা নদী প−াবন ভূমি)

 কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১৩ (গঙ্গা জোয়ার প−াবন ভূমি)

 কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১৪ (গোপালগঞ্জ-খুলনা বিল)

 

চলতি কর্মকান্ড

 

 লবণাক্ত এলাকার উপযোগী দানাশস্য, তৈল ও ডাল জাতীয় ফসল উদ্ভাবন

 উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন

 ফসল পর্যায় ভিত্তিক সার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্তিকা উর্বরতা বৃদ্ধি করণ

 জৈব সার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করণ

 কৃষি পরিবেশ ভিত্তিক ফসলের উপযোগীতা যাচাই

 

বীজ উৎপাদন কার্যক্রম

 

 বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল মাঠ ফসল ও সবজির বীজ এবং ফলজও চারা/কলম বিতরণ

 

হস্তান্তরযোগ্য প্রযুক্তি

 

 রোপা আমনের সাথে সাথী ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ ঃ

 

এই প্রযুক্তিতে রোপা আমন ধান মাঠে থাকা অবস্থায় সরিষার আবাদ করা হয়। অত্র অঞ্চলে রোপা আমন ধান কাটার পর মাটিতে জোঁ না থাকায় এবং রোপন সময় বিলম্বিত হওয়ায় সরিষার আবাদ করার যথাপযুক্ত পরিবেশ থাকে না তাই, আমন ধান কাটার ১৫-২০ দিন আগে সরিষার বীজ ঐ জমিতে ছিটিয়ে বোনা হয়। ফলে ঐ সময় মাটিতে যে রস থাকে তাতে সরিষার চারা অগুরিত হয় এবং লবাণাক্ততা কম থাকায় চারার কোন ক্ষতি হয় না। এইভাবে লবণের প্রভাব অতিক্রম করে জোঁ অবস্থায় সরিষার উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় সরিষার আবাদ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী ধানের জাত- বিনা ধান-৭ (জীবনকাল ১১০-১১৫ দিন) এবং স্বল্প মেয়াদী সরিষার জাত বারি সরিষা-৯ অথবা টরি-৭ নির্বাচিত করতে হবে।

 

 লবণাক্ত এলাকায় মালচ্ প্রয়োগের মাধ্যমে আলু চাষ

 

এই পদ্ধতিতে জমি ৩-৪ বার ভালোভাবে চাষ দিয়ে ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) উঁচু বেড তৈরী করতে হবে। অতপর ৬০ সেঃমি ী ২৫ সেঃমিঃ দূরত্বে বীজআলু বপন করতে হবে। ৩০-৩৫ দিন পর চারা যখন ৪-৫ সেঃ মিঃ উচ্চতা বিশিষ্ট হয় তখন খড় মালচ্ দিয়ে জমি ঢেকে দিতে হবে। এর ফলে মাটির লবণাক্ততা হ্রাস পায়, আগাছার উপদ্রব কম হয় এবং সেচ বা বৃষ্টির পানি জমে থাকতে পারে না বিধায় বীজ আলু পঁচে যায় না।

 

 বিনা চাষে গম ও ভূট্টার আবাদ

 

এই পদ্ধতিতে উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় আমন ধান কাটার পরপরই গমের বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। মাটিতে বিদ্যমান আদ্রতায় গমের চারা অঙ্কুরিত হয় এবং মাটিতে লবণাক্ততা কম থাকায় চারার বৃদ্ধিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরে না। পরবর্তীতে গাছের ক্যানোপি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটির আদ্রতা সংরক্ষিত হয় বিধায় মাটির লবণাক্ততা ক্ষতিকর পর্যায়ে পৌছাতে পারে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত - সৌরভ, গৌরব, প্রদীপ ও প্রতিভা চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছে। বিনা চাষে ভূট্ট্রার আবদ এ অঞ্চলের কৃষি আরেকটি প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে আমন ধান কাটার পর মাটি কর্দমাক্ত থাকা অবস্থায় মাটির ২-৩ সেঃ মিঃ নীচে ভূট্টার বীজ পূঁতে দেওয়া হয়। মাটিতে বিদ্যমান আদ্রতায় ভূট্ট্রার বীজ অঙ্কুরিত হয় এবং মাটির লবণাক্তাতা কম থাকায় চারার বৃদ্ধিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি হাইব্রিড ভূট্ট্রা-২, বারি হাইব্রিড ভূট্ট্রা-৫ অত্র অঞ্চলে ভালো ফলন দিয়েছে।

 

 আমের শোষক পোকা দমন

 

শোষক পোকা আমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর পোকা। প্রাথমিক অবস্থায় এ পোকার আক্রমণে আমের ফলন শতভাগ নষ্ট হতে পারে। এই পোকা দমণ করে আমের মুকুল ও গুটি ঝরা রোধ করা যায়। এজন্য আমের মুকুল বের হওয়ার পর এবং ফুল ফোঁটার আগে একবার এবং আমের গুটি মটরদানার মত হওয়ার পর আরেকবার প্রতি লিটার পানিতে ডাইথেন এম-৪৫, ২ গ্রাম এবং সিমবুশ/রিপকর্ড ১ মিলিঃ বা টিল্ট-২৫০ ইসি ০.৫ মিলিঃ মিশিয়ে প্রতি লিটার পানিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।

 

 ঘেরের ভেড়িবাঁধে বছরব্যাপী সবজি চাষ

 

উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষের প্রসারতার প্রেক্ষিতে মাঠ ফসল ও সবজি আবাদের সুযোগ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, দৌলতপুর, খুলনা সবজি চাষ প্রসারের জন্য ঘেড়ের চওড়া ও চিকন ভেড়িবাঁধে সবজি আবাদে কলাকৌশল উদ্ভাবন করেছে। এক্ষেত্রে ঘেরের চওড়া ভেড়িবাঁধে রবি মৌসুমে ওলকপি, টমেটো, বাঁধাকপি, বেগুন ও মরিচ এবং খরিপ মৌসুমে ঢেঁড়শ, পুইশাক, শসা, লাউ ও করলা চাষ করা হয়। ঘেরের চিকন ভেড়িবাঁধে রবি মৌসুমে মিষ্টিকুমড়া লাউ ও শসা এবং খরিপ মৌসুমে শসা, করলা ও চালকুমড়া চাষ করা হয়।